পৃথিবীর আকার-আকৃতি (Size and shape of the world)

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ভূগোল ও পরিবেশ - মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী | NCTB BOOK
2.1k
Summary

মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিলের তারিখে স্পুটনিকে চড়ে পৃথিবী প্রদিক্ষণের সময় পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করেন।

  • পৃথিবী গোলাকার, তবে উত্তর-দক্ষিণে কিছুটা চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিমে সামান্য স্ফীত।
  • পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি অভিগত গোলকের (Oblate spheriod) মতো।
  • মেরুদেশীয় ব্যাস ১২,৭১৪ কিমি এবং নিরক্ষীয় ব্যাস ১২,৭৫৭ কিমি; পার্থক্য ৪৩ কিমি।
  • পৃথিবীর গড় ব্যাস ১২,৭৩৪.৫ কিমি, গণনার সুবিধার জন্য ১২,৮০০ কিমি হিসেবে ধরা হয়।
  • গড় ব্যাসার্ধ ৬,৪০০ কিমি।
  • নিরক্ষীয় পরিধি ৪০,০৭৭ কিমি এবং মেরুদেশীয় পরিধি ৪০,০০৯ কিমি; গড় পরিধি ৪০,০০০ কিমি।

মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল স্পুটনিকে চড়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের সময় বুঝতে পারেন পৃথিবী ‘গোলাকার' তবে উত্তর-দক্ষিণে কিছুটা চাপা। এছাড়া তার তোলা পৃথিবীর ছবিও দেখতে গোলাকৃতি। তবে পূর্ব-পশ্চিমে সামান্য স্ফীত। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি হলো অনেকটা অভিগত গোলকের (Oblate spheriod) মতো।
পৃথিবীর আকৃতি যেহেতু সম্পূর্ণ গোলাকার নয় সেহেতু পৃথিবীর নিরক্ষীয় ‘পূর্ব-পশ্চিম' ব্যাস ও মেরুদেশীয় ‘উত্তর-দক্ষিণ’ ব্যাস ভিন্ন। মেরুদেশীয় ব্যাস হলো ১২,৭১৪ কিলোমিটার এবং নিরক্ষীয় ব্যাস হলো ১২,৭৫৭ কিলোমিটার। এদের মধ্যে পার্থক্য হলো ৪৩ কিলোমিটার। পৃথিবীর গড় ব্যাস হলো ১২,৭৩৪.৫ কিলোমিটার। গণনার সুবিধার জন্য একে ১২,৮০০ কিলোমিটার ধরা হয়। এই হিসেবে পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ হলো ৬,৪০০ কিলোমিটার। পৃথিবীর পরিধির মধ্যে নিরক্ষীয় পরিধি ৪০,০৭৭ কিলোমিটার। এটাই সর্ববৃহৎ পরিধি এবং মেরুদেশীয় পরিধি ৪০,০০৯ কিলোমিটার। গণনার সুবিধার জন্য গড় পরিধি ৪০,০০০ কিলোমিটার ধরা হয়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...